“ইয়া যাল-জালালি ওয়াল-ইকরাম” হারিয়ে যাওয়া একটি যিকর বা দুআ
“ইয়া যাল-জালালি ওয়াল-ইক রাম” আল্লাহ তাআলার সুন্দর সুন্দর গুণবাচক নামসমূহের মধ্যে একটি। নিয়মিত এ গুণবাচক নামের আমল করলে ধন-দৌলত প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে দুনিয়া ও পরকালের যাবতীয় কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সুসম্পন্ন হবে।
হারিয়ে যাওয়া একটি যিকর বা দুআ হলো- “ইয়া যাল-জালালি ওয়াল-ইকরাম” । রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: তোমরা নিয়মিত বেশি বেশি ‘ইয়া যাল-জালালি ওয়াল-ইকরাম’ পাঠ করো। (তিরমিযি, হাদীস নং ৩৫২৪/৩৮৬৮)। এটি মূলত: আল্লাহর ৯৯টি নামের একটি।
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলার ৯৯টি গুণবাচক নাম আছে। যে ব্যক্তি এ গুণবাচক নামগুলোর জিকির (আমল) করবে; সে জান্নাতে যাবে।’
এই নাম বেশি বেশি জপতে বলার সুপ্ত রহস্য ফুটে ওঠে এর অর্থের দিকে গভীরভাবে খেয়াল করলে। জালাল শব্দটি সৌন্দর্য, পরিপূর্ণতা এবং বড়ত্ত্ব ও মহত্বের অর্থ বহন করে। আর ইকরাম শব্দের মধ্যে উদারহস্তে দান ও বাদান্যতার অর্থ রয়েছে। সুতরাং এই নামে আল্লাহর স্মরণ করার অর্থ হচ্ছে- একাধারে আপনি আল্লাহর প্রশংসা ও গুণকীর্তন করছেন আবার পাশাপাশি তাঁর কাছে ‘প্রার্থনা’ও করছেন।
দু‘আয় ‘ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম’ বলা
আল্লাহর নাম নিয়ে দু‘আর ক্ষেত্রে বিশেষ একটি নাম ‘যুল জালালি ওয়াল ইকরাম’। দু‘আর মধ্যে এই নাম বেশি বেশি বলতে রাসূলুল্লাহ (সা.) নির্দেশ দিয়েছেন। রাবীয়া ইবনু আমের (রাঃ) বলেন , রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ ألظوا ب-يا ذا الجلال والإكرام
“তোমরা ‘ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম’-কে [অর্থ: হে মর্যাদা ও সম্মানের অধিকারী] সর্বদা আঁকড়ে ধরে থাকবে (দু‘আয় বেশি বেশি বলবে)”।[1]
এই হাদীস থেকে দু‘আর মধ্যে বা শেষে ‘ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম’ বলার ফযীলত জানতে পারছি। এছাড়া সালাতের পরে মুনাজাতের আলোচনায় আমরা দেখতে পাব যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) ফরয সালাতের সালাম ফেরানোর পরে ‘আল্লাহুম্মা আন্তাস সালাম … যাল জালালি ওয়াল ইকরাম’ বলতেন। এজন্য অনেকে সর্বদা দু‘আ বা মুনাজাতের শেষে ‘ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম’ বলেন।
নবীজি (সা:) যা বেশি বেশি জপতে বলেছেন, আপনার কি তা কমও জপা হয়? উত্তর ‘না’ হলে এখনি শুরু করুন-ﻳﺎﺫﺍ ﺍﻟﺠﻼﻝ ﻭﺍﻹﻛﺮﺍﻡ (ইয়া যাল-জালালি ওয়াল-ইকরাম)। অর্থাৎ হে বড়ত্ত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব এবং সম্মান ও বদান্যতার অধিকারী।
***{কৃতজ্ঞতাঃ শায়েখ আহমদ উল্লাহ্}***